নিউজ
ডেস্ক : ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নিশ্চয়ই খুবই বাজে ব্যাপার ও বিব্রতকর। যিনি
নাক ডাকেন, তাঁর জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। আর অবশ্যই পাশের মানুষটির
জন্য এটি বিরক্তির উদ্রেক করে। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার
এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। নাক ডাকা নিয়ে দারুণ অস্বস্তিকর অবস্থায়
আছেন? তাহলে আজ জেনে নিন ১০টি বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি, যেগুলো
নিঃসন্দেহে আপনার নাক ডাকা সমস্যার সমাধান করবে।
১) কাত হয়ে ঘুমানো
চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে
নাক ডাকার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই যাদের নাক ডাকার সমস্যা আছে তারা কাত হয়ে
ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন।
যাদের ওজন বেশি, শরীরের আকার স্থূল। তাঁরা
স্থূলতার কারণে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়।
ফলে শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষণে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। তাই ওজন
কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
৩) নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার
অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্কে
প্রভাব ফেলার সাথে সাথে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল
বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য
পরিহার করা উচিত।
৪) বেশি বালিশ নেওয়া
বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে।
৫) ধূমপান ছেড়ে দেওয়া
ধূমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা
কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও অনেকে নাক
ডাকতে পারেন। তাই উচিত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা।
৬) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই
অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার
অভ্যাস করা উচিত। ফলে ঘুমের সাথে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। আর
অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়। এতে কমে যেতে পারে আপনার নাক ডাকার প্রবনতা।
৭) শরীরচর্চা
শরীরচর্চা পেশি, রক্তের চলাচল ও
হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ায় এবং ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে
প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।
৮) প্রচুর পানি পান করা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে। নাক ডাকাও কমবে।
৯) নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখা
নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি।
এতে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে
অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলারও
ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০) ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের
খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে।
পরিপাক তন্ত্র ঝামেলা করবে না। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।
No comments:
Post a Comment