আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উড়িষ্যা
রাজ্যের এক নারী তার পাকিস্তানী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। সীমান্তের
কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে সোজা পাড়ি জমিয়েছেন প্রেমিকের দেশে। এ ঘটনায়
মেয়েটির পরিবার স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করেছে।
ওই রাজ্যের বালানগির থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার
বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি এবং সব দিক বিবেচনা করে দেখছি। দরকার
হলে আমরা পাকিস্তানেও অনুসন্ধান চালাবো।’
গত তিন দিন আগে এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ওই
মেয়ের বাবা-মা মামলা দায়ের করেন। পালিয়ে যাওয়া ওই মেয়ের নাম প্রতিমা সাহু
(২৬)। এক বছর আগে ফেসবুকে পাকিস্তানী নাগরিক ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ মানশার
সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে প্রতিমার। এরপর প্রেম। সম্প্রতি নিজের দেশ ছেড়ে
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাইহায় পালিয়ে যান প্রতিমা । সেখানকার এক
স্থানীয় মসজিদে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন এবং মানশাকে বিয়ে করেন। ধর্মান্তরিত
হওয়ার পর তার নতুন নাম হয়েছে মরিয়ম।
ব্রিটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভালোবাসার
মানুষটিকে নিজের করে পেয়েছি। এতে আমি ভীষণ খুশি। আমি এখন পাকিস্তানের
নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবো। এখানে আমি আমার স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গে
থাকবো। এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।’
পাকিস্তান এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন
থেকে নিজের মেয়ের খবর জানতে পারেন প্রতিমার বাবা-মা। তার ভাই প্রমোদ সাহু
হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকাকে বলেন, ‘ও যে পাকিস্তান চলে গেছে আমদের এ
সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না।’
গত দশ
বছর ধরে ভারতের আধ্যাত্মিক গোষ্ঠী প্রজাপতি ব্রহ্মাকুমারির সঙ্গে
যুক্ত ছিলেন প্রতিমা। বেশিরভাগ সময় তিনি বালানগির শহরের আশ্রমেই থাকতেন।
আশ্রমের প্রধান প্রেমলতা জেন বলেন, প্রতিমা যে ফেসবুকে পাকিস্তানীর সঙ্গে
প্রেম করছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না।
No comments:
Post a Comment